একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি -
রসায়ন -
রসায়ন- প্রথম পত্র |
| NCTB BOOK
বিভিন্ন ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি
প্রকৃতিতে মৌলগুলোকে বিভিন্ন ব্লকে ভাগ করা হয়েছে যেমন s-ব্লক, p-ব্লক, d-ব্লক এবং f-ব্লক। প্রতিটি ব্লকের মৌলগুলো নির্দিষ্ট কিছু সাধারণ ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এখানে প্রতিটি ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি ব্যাখ্যা করা হলো:
s-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি
ইলেকট্রন বিন্যাস: s-ব্লকের মৌলগুলোর শেষ ইলেকট্রনটি s-অরবিটালে থাকে।
জারণ ধর্ম: এরা সাধারণত ধাতব প্রকৃতির এবং ইলেকট্রন হারিয়ে ধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
বিপ্রতীক ধর্ম: s-ব্লকের মৌলগুলো উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মকতার অধিকারী নয়।
অভিকর্ষ ধর্ম: সহজেই অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া করে যৌগ গঠন করতে পারে।
p-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি
ইলেকট্রন বিন্যাস: শেষ ইলেকট্রনটি p-অরবিটালে প্রবেশ করে।
বহুমাত্রিক ধর্ম: এ ব্লকের মৌলগুলো ধাতু, অধাতু এবং উপধাতু হতে পারে।
বিপ্রতীক ধর্ম: অধিকাংশ p-ব্লকের মৌল উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মক এবং অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
ভিন্ন ভিন্ন যৌগ গঠন: প-ব্লকের মৌলগুলো বিভিন্ন ধরনের যৌগ গঠন করতে পারে, যেমন অক্সাইড, হ্যালাইড ইত্যাদি।
d-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি
ইলেকট্রন বিন্যাস: শেষ ইলেকট্রনটি d-অরবিটালে থাকে।
রঙিন যৌগ: অধিকাংশ d-ব্লকের মৌল রঙিন যৌগ গঠন করে।
অংশিক ভর: d-ব্লকের মৌলগুলো সাধারণত উচ্চ গলনাঙ্ক এবং কঠিন অবস্থা প্রদর্শন করে।
জারণ অবস্থার ভিন্নতা: এই মৌলগুলো বিভিন্ন জারণ অবস্থায় থাকতে পারে।
f-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি
ইলেকট্রন বিন্যাস: শেষ ইলেকট্রনটি f-অরবিটালে থাকে।
অভ্যন্তরীণ রূপান্তর: এই ব্লকের মৌলগুলোকে "অভ্যন্তরীণ রূপান্তর মৌল" বলা হয়।
রেডিওধর্মিতা: অধিকাংশ f-ব্লকের মৌল রেডিওধর্মী।
সংকরকরণ: f-ব্লকের মৌল বিভিন্ন ধরনের সংকরকরণ প্রদর্শন করে।